ইসরাঈলিয়্যাত- ওয়াল- মাওযূআত

ইসরাঈলিয়্যাত- ওয়াল- মাওযূআত
মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামইসরাঈলিয়্যাত- ওয়াল- মাওযূআত শাব্দিক ও পারিভাষিক বিশ্লেষণ

ألإسرائيليات والموضوعات আলোচ্য শব্দ দু’টি উহ্য মাওসূফের সিফাত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। মূল ইবারত হলঃ القصص/ الحوادث/ الروايات الإسرائيليات والروايات الموضوعات ألإسرائيليات والموضوعات শাব্দিক বিশ্লেষণঃ الروايات শব্দটি الرواية এর বহুবচন অর্থ দীর্ঘ বর্ণনা অথবা الرواية শব্দটি বাবে (ضرب يضرب ) এর মাসদার অর্থ হল বর্ণনা করা। الإسرائيليات শব্দটি الإسرائيلية এর বহুবচন। উক্ত শব্দটি মূলত الإسرا ও

ألإسرائيليات والموضوعات

আলোচ্য শব্দ দু’টি উহ্য মাওসূফের সিফাত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। মূল ইবারত হলঃ

القصص/ الحوادث/ الروايات الإسرائيليات والروايات الموضوعات

ألإسرائيليات والموضوعات শাব্দিক বিশ্লেষণঃ

الروايات শব্দটি الرواية এর বহুবচন অর্থ দীর্ঘ বর্ণনা অথবা الرواية শব্দটি বাবে (ضرب يضرب ) এর মাসদার অর্থ হল বর্ণনা করা।
الإسرائيليات শব্দটি الإسرائيلية এর বহুবচন। উক্ত শব্দটি মূলত الإسرا ও إيل শব্দের সমন্বয়ে গঠিত একটি যুক্ত শব্দ। হিব্রু ভাষায় এর অর্থ হলো আব্দুল্লাহ। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো, হযরত ইয়াকুব আ.।
الإسرائيل : শব্দের শেষে ইয়ায়ে নিসবাতী যুক্ত করা হয়েছে। মাওসুফ তা‘নীস হওয়ার কারণে শেষে “ ة” যুক্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, কোন জিনিসকে কোন জিনিসের সাথে সম্পৃক্ত করার জন্য শব্দের শেষে ইয়ায়ে নিসবাতী বৃদ্ধি করা হয়। যেহেতু إسرائيليات দ্বারা بنى إسرائيل কর্তৃক বর্ণিত ঘটনাবলী বুঝানো উদ্দেশ্য। সে হিসাবে إسرائيل শব্দের শেষে ইয়ায়ে নিসবাতী যুক্ত করা হয়েছে। কারণ مركب اضافى এর ক্ষেত্রে সাধারণত দ্বিতীয় অংশের সাথেই ইয়ায়ে নিসবাতী যুক্ত করা হয়ে থাকে।

(الإسرائيليات والموضوعات لأبى شهبة:১২)

ইসরাঈলিয়্যাত এর পারিভাষিক অর্থঃ
১.পরিভাষায় ইসরাঈলিয়্যাত বলা হয় সে সকল পৌরাণিক উপকথা, গল্প কাহিনী ও হাদীসসমূহ কে, যা বর্ণিত হয়েছে ইয়াহুদী-খৃষ্টানদের জ্ঞানের উৎসসমূহ থেকে।

২. কেউ কেউ পারিভাষিক সঙ্গায় কিছুটা ব্যাপকতার আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। তারা কুরআনের তাফসীর ও হাদীস হিসাবে বর্ণিত ইয়াহুদী-খৃষ্টান ছাড়া ইসলামের অন্যান্য শত্রুদের চক্রান্তমূলক বিষয়াদীকেও ইসরাঈলিয়্যাত এর মাঝে গন্য করেছে। তবে এখানে ইয়াহুদীদেরকে অন্যদের উপর প্রাধান্য দেয়ার কারণ হচ্ছে পৌরাণিক উপকথা, গল্প-কাহিনী থেকে যা কিছু বর্ণনা করা হয় সবগুলোর মূল উৎস হল ইয়াহুদী সম্প্রদায়। যেমন সর্বপ্রথম ইসরাঈলিয়্যাত এর ব্যাপকতা দান করে মদীনায় বসবাসরত ইয়াহুদীরাই যারা ছিল মুসলমানদের প্রতিবেশী।

৩. আবার কেউ কেউ ইসরাঈলিয়্যাতের উল্লিখিত সঙ্গায় আরো কিছুটা যুক্ত করেছে। তাদের মতে ইসরাঈলিয়্যাত বলা হয় ইয়াহুদী-খৃষ্টান সম্প্রদায় থেকে যারা মুসলমান হয়েছে তাদের বর্ণিত রিওয়ায়াত কে।
উল্লিখিত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, ইসরাঈলিয়্যাত হচ্ছে মুসলমান আহলে কিতাব ও ইয়াহুদী-খৃষ্টান কর্তৃক বর্ণিত পৌরাণিক উপকথা, গল্প-কাহিনী, কুরআনের তাফসীর ও হাদীস হিসাবে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহ এবং ইয়াহুদী-খৃষ্টান ছাড়া ইসলামের অন্যান্য শত্রুদের চক্রান্তমূলক বর্ণিত বিষয়াদি।

বনী ইসরাঈল 
যেহেতু الإسرائيليات দ্বারা বনী ইসরাঈল কর্তৃক বর্ণিত রিওয়ায়াত বা ঘটনাবলী বুঝানো উদ্দেশ্য এবং কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা‘আলা অনেক স্থানেই বনী ইসরাঈলকে সম্বোধন করেছেন, সে হিসাবে বনী ইসরাঈলদের পরিচিতি জেনে নেয়া উচিত।

বনী ইসরাঈল দ্বারা উদ্দেশ্য:
হযরত ইয়াকুব আ. এর সন্তান-সন্তুতি ও তাঁর পরবর্তী বংশধর। সুতরাং হযরত মূসা আ. ও হযরত ঈসা আ. এর যুগের এবং তাঁর পরেও আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পূর্ব যুগ পর্যন্ত হযরত ইয়াকুব আ. এর সকল বংশধর এর অন্তর্ভূক্ত। অবশ্য বর্তমানে তাদের বিভিন্ন শ্রেনী বিভিন্ন নামে অভিহিত। যেমন তাদের এক শ্রেণী ইয়াহুদী নামে পরিচিত। অপর শ্রেণী যারা হযরত ঈসা আ. এর প্রতি ঈমান এনেছে তারা খৃষ্টান নামে পরিচিত। তেমনিভাবে যারা শেষ নবীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছে তারা মুসলমান আহলে কিতাব নামে অভিহিত।

(الإسرائيليات والموضوعات لأبى شهبة:১২)

 

চলমান পোষ্ট

মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো * দ্বারা চিহ্নিত করা আছে।

সর্বশেষ পোস্ট

শীর্ষ লেখক

সর্বাধিক মন্তব্য

বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভিডিও

ক্যাটাগরি