দৃষ্টিকোণের পার্থক্যের ভিত্তিতে তাফসীরুল কুরআনকে বিভিন্ন ভাগে বিভক্তকরণ ১. মানুষের তাফসীর উপলদ্ধি করা না করার প্রতি লক্ষ্য করে তাফসীর চার প্রকার। (ক) এমন তাফসীর যা আরবগণ নিজেদের মাতৃভাষার কারণে বুঝতে সক্ষম। (খ) এমন তাফসীর যা না জানার অজুহাত কারো হতে গৃহীত হবে না। (গ) এমন তাফসীর যা শুধু আলেমগণই জানেন। (ঘ) এমন তাফসীর যা কেবলমাত্র
দৃষ্টিকোণের পার্থক্যের ভিত্তিতে তাফসীরুল কুরআনকে
বিভিন্ন ভাগে বিভক্তকরণ
১. মানুষের তাফসীর উপলদ্ধি করা না করার প্রতি লক্ষ্য করে তাফসীর চার প্রকার।
(ক) এমন তাফসীর যা আরবগণ নিজেদের মাতৃভাষার কারণে বুঝতে সক্ষম।
(খ) এমন তাফসীর যা না জানার অজুহাত কারো হতে গৃহীত হবে না।
(গ) এমন তাফসীর যা শুধু আলেমগণই জানেন।
(ঘ) এমন তাফসীর যা কেবলমাত্র আল্লাহ তা‘আলাই জানেন। কেউ তা জানার দাবী করলে সে মিথ্যাবাদী।
২. তাফসীর জানার পদ্ধতী বা মাধ্যমের দৃষ্টিকোণ থেকে তাফসীর দুই প্রকার।
(ক) এমন তাফসীর যা জানার মাধ্যম أثر (তথা কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং সাহাবায়ে কিরাম ও তাবিয়ীগণের উক্তি) এ প্রকারকে তাফসীর বিল মা‘ছুর বলা হয়।
(খ) এমন তাফসীর যা জানার মাধ্যম হচ্ছে ইজতিহাদ (তথা নিজের চিন্তা-গবেষণা লব্ধ জ্ঞান) তাফসীরের এ প্রকারকে তাফসীর বিররায় বলা হয়া।
৩. তাফসীর উপস্থাপনের বর্ণনাভঙ্গি অনুপাতে তাফসীর চার প্রকার।
(ক) তাফসীরে তাহলীলী
এপদ্ধতিতে মুফাসসির কুরআনের আয়াতকে পূর্ণ হল করার ইচ্ছা করে। অর্থাৎ তাফসীরে তাহলীলীর মাঝে আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট, দূর্লভ শব্দের বিশ্লেষণসহ সর্ব প্রকারের জটিলতা নিরসন করা হয়।
(খ) তাফসীরে ইজমালী
এ পদ্ধতির তাফসীরের মাঝে মুফাসসির ই‘রাব, লূগাত, বালাগাতসহ অন্যান্য বিশ্লেষণে না গিয়ে শুধু আয়াতের তরজমার সাথে সংক্ষিপ্ত তাফসীর করে থাকেন।
(গ) তাফসীরে মুকারিন
এ পদ্ধতির তাফসীরে মুফাসসির তাফসীরের ক্ষেত্রে বর্ণিত দু’টি মতকে গ্রহণ করে উভয়টির মাঝে তুলনা করে একটিকে অপরটির উপর প্রাধান্য দেয়ার ইচ্ছা করেন।
(ঘ) তাফসীরে মওজুয়ী
এ পদ্ধতির তাফসীরের মাঝে মুফাসসির কুরআনের কোন শব্দ, বাক্য বা কোন একক বিষয়ের উপর আলোচনা করার ইচ্ছা করেন। যেমন:
(ক) পূর্ণ কুরআন হতে কোন একটি বিষয় বর্ণনা করা। যেমন موضوع صفات عباد الرحمن فى القران
(খ) কোন এক সূরার বিষয়বস্তুকে বর্ণনা করা। যেমন موضوع الأخلاق الإجتماعية فى سورة الحجرات
(গ) কুরআনের কোন শব্দ বা বাক্যের বিশ্লেষণ করা। যেমন لفظة الأمة فى القران وجملة الذ ين فى قلوبهم مرض فى القران
৪. মুফাসসিরের দৃষ্টিভঙ্গির দিকদিয়ে তাফসীর
অর্থাৎ মুফাসসিরের তাফসীর করতে গিয়ে কোন একটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়া। যেমন ফিক্বহী মাযহাব, আক্বীদা, লুগাহ, নাহব, বালাগাত ইত্যাদি। (ফুসূলুন ফী উসূলিত তাফসীর:পৃষ্ঠা-১৭-২১)
তাফসীর বিলমা‘ছুর এর পরিচয়
هوما جاء فى القران او السنة اوكلام الصحابة ( او التابعين على قول الراجح ) بيانا لمراد الله تعالى من كتابه
“তাফসীর বিলমা‘ছুর হল কুরআনের কোন আয়াতের তাফসীর কুরআনের অন্য আয়াত, সুন্নাহ, অথবা সাহাবায়ে কিরামের উক্তিসমূহের মাধ্যমে বা বিশুদ্ধ মতানুসারে তাবেয়ীদের উক্তিসমূহের মাধ্যমে হওয়া যা কিতাবুল্লাহর মাঝে আল্লাহ তা‘লার উদ্দেশ্যের বিশ্লেষক হয়। (আল-মুফাসসির লিআহমাদ কুশাইরী সহীদ:পৃ-১৯০) (মানাহিলুল ইরফান ফী উলূমিল কুরআন লিযযুরক্বানী:খন্ড-২, পৃষ্ঠা-১৪)
তাফসীর বিররায় দুই প্রকার
(ক) তাফসীর বিররা‘ইলমাহমূদ।
(খ) তাফসীর বিররা‘ইলমাযমূম।
সুতরাং তাফসীর জানার পদ্ধতি বা মাধ্যমের দৃষ্টিকোণ থেকে তাফসীর মোট তিন প্রকার
(ক) তাফসীর বিলমা‘ছুর
(খ) তাফসীর বিররা‘ইলমাহমূদ
(গ) তাফসীর বিররা‘ইলমাযমূম
মতামত দিন
আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো * দ্বারা চিহ্নিত করা আছে।