বিগত শতাব্দীর সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ..
এইতো সেদিন। ২০১১ সালে উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা ও সুগভীর গবেষণার পরম লক্ষ নিয়ে পথচলা শুরু করেছিলো আমাদের স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান মা’হাদুল বুহুসিল ইসলামিয়া। দেখতে দেখতে কেটে গেলো আটটি বছর। আল্লাহ তা‘আলার অশেষ মেহেরবানিতে মা’হাদ আজ নবম শিক্ষাবর্ষে পদার্পণ করেছে। আলহামদুলিল্লাহ।
গত ৭ শাওয়াল ১৪৪০ হিজরি মোতাবেক, ১১ জুন ২০১৪ ঈসায়ি, রোজ মঙ্গলবার নতুন ছাত্রদের ভর্তির মাধ্যমে মা’হাদের চলতি শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ ভর্তি কার্যক্রমে মা’হাদের বিভিন্ন বিভাগে মোট ৬৪ জন নতুন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে মক্তব বিভাগে ২০ জন, নাযেরা বিভাগে ৫ জন, হিফজ বিভাগে ৮ জন। কিতাব বিভাগের (প্রথম জামা‘আত) তাইসীরে ১৮ জন ও ইফতা বিভাগের প্রথম বর্ষে ১৪ জন ছাত্র ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বিগত শিক্ষাবর্ষে মা’হাদের বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নকারী ৮০ জন পুরাতন ছাত্র রমাযানেই তাদের ভর্তির কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। নতুন ও পুরাতন মিলিয়ে মা’হাদের বর্তমান ছাত্রসংখ্যা মোট ১৪৪ জন।
১৪৪০-৪১ হিজরি মোতাবেক ২০১৯-২০ ঈসায়ি শিক্ষাবর্ষের এই সূচনালগ্নে আমাদের খুব মনে পড়ছে সেসব মুরব্বীর কথা- যাঁদের নেকদৃষ্টি মা’হাদের উপর না থাকলে এ প্রতিষ্ঠান এক কদমও সামনে এগুতে সক্ষম হতো না। মনে পড়ছে মাহাদের জন্যে নিবেদিতপ্রাণ সেসব শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা, যারা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাহাদকে আগলে নিচ্ছেন দৃঢ়তার সাথে। মাহাদ কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত, মুরব্বীগণের দুআ ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আন্তরিকতা আগামীতেও এ প্রতিষ্ঠানের পাথেয় ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে। ইনশাআল্লাহ।
বিগত শতাব্দীর সংস্কারক ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব, হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক রহ. বলতেন, ‘আমওয়ালুল মুসলেমিন এবং আতফালুল মুসলেমিন দুটোই আমাদের হাতে আমানত।’
হযরতওয়ালার একথার অর্থ হচ্ছে, মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে মুসলিম জনগণ সাধারণত দুটো জিনিস অর্পণ করে থাকে। এক. তাদের সম্পদ। দুই. তাদের সন্তান। এ দুটোই মাদরাসা কর্তৃপক্ষের কাছে পরম আমানত হিসেবে অর্পিত থাকে। সুতরাং মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো, মুসলমানদের প্রদত্ত সম্পদ সঠিক পন্থায় সঠিক খাতে ব্যয় করা। সেই সাথে মুসলমানদের যেসব সন্তান মাদরাসায় ভর্তি হয়, যথাযথ তালিম ও তারবিয়তের মাধ্যমে তাদেরকে সর্বদিকে যোগ্য নায়েবে নবী হিসেবে গড়ে তোলা। মুসলমানদের প্রদত্ত আমানতের হক আদায় করতে হলে এই কর্তব্যের প্রতি সবসময় লক্ষ রাখতে হবে। অন্যথায় আল্লাহর দরবারে এর জন্যে অবশ্যই আমাদের জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে। মুসলমানদের সম্পদ ও সন্তানের মহান এই আমানত সংরক্ষণ ও ব্যবহারে মা’হাদ যেন সবসময় সতর্ক থাকতে পারে, ছাত্রদের তালিম-তারবিয়তে এ প্রতিষ্ঠান যেন আরো বেশি সমৃদ্ধি লাভ করে, সেজন্যে মা’হাদ কর্তৃপক্ষ সকলের কাছে দুআ কামনা করছে।
মতামত দিন
আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো * দ্বারা চিহ্নিত করা আছে।