মা‘হাদু উলূমিল কুরআন সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও সহযোগিতার পদ্ধতি আলহামদুলিল্লাহ্ ! আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে উচ্চতর কুরআন গবেষণা ও বহুমুখি কুরআনী শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা এর ঐতিহাসিক সাত মসজিদ সংলগ্ন স্থানে গত ২০০৭ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মা‘হাদু উলূমিল কুরআন।’ প্রাথমিক পর্যায়ে একেবারে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ধীরে ধীরে চলতে থাকে
মা‘হাদু উলূমিল কুরআন
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও সহযোগিতার পদ্ধতি
আলহামদুলিল্লাহ্ ! আল্লাহ পাকের অশেষ মেহেরবানীতে উচ্চতর কুরআন গবেষণা ও বহুমুখি কুরআনী শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রাজধানী ঢাকা এর ঐতিহাসিক সাত মসজিদ সংলগ্ন স্থানে গত ২০০৭ ইং সনে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘মা‘হাদু উলূমিল কুরআন।’ প্রাথমিক পর্যায়ে একেবারে ক্ষুদ্র পরিসরে শুরু হয় এই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। ধীরে ধীরে চলতে থাকে এর অগ্রযাত্রা। শিক্ষা কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি পায়। ফলে স্থানও পরিবর্তন করতে হয়। অবশেষে আল্লাহ পাক ৯৪০/১৬, বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি, আদাবর-১৪, ঢাকায় মা‘হাদু উলূমিল কুরআনের নিজস্ব জায়গার ব্যবস্থা করেন। আর সেখানেই নির্মিত টিনশেডে চলছে এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কার্যক্রম।
বর্তমান কার্যক্রমঃ
* উচ্চতর উলূমুল কুরআন বিভাগ।
* উচ্চতর তাফসীরুল কুরআন বিভাগ।
* তাহসীনুল কুরআন বিভাগ।
* উলামা (দাওরায়ে হাদীছ উত্তীর্ণ) তাহফীজুল কুরআন বিভাগ।
* হিফজ শোনানো বিভাগ।
* ছোটদের তাহফীযুল কুরআন বিভাগ।
* রমজানভিত্তিক তাহফীজুল কুরআন বিভাগ।
* কুরআন গবেষণা কার্যক্রম। * মাসিক ইসলাহী মজলিস।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাঃ
* আল কুরআন ও দা‘ওয়াহ্ বিভাগ।
* আল কুরআন ও আরবী সাহিত্য বিভাগ।
* কুরআনী মু‘আল্লিম প্রশিক্ষণ বিভাগ।
* কুরআন বিষয়ক সেমিনার।
* কুরআনী মিউজিয়াম।
* কুরআন প্রদর্শনী।
* কুরআন বিষয়ক প্রতিযোগিতা।
এছাড়াও রয়েছে (আরব বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান) কুরআন বিষয়ক বিভিন্ন শিক্ষা কার্যক্রম।
সহযোগিতার পদ্ধতিঃ
পবিত্র কুরআনের ব্যাপক প্রচার-প্রসারের সুমহান লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত উচ্চতর কুরআন গবেষণা ও বহুমুখি কুরআনী শিক্ষা
কেন্দ্র মা‘হাদু উলূমিল কুরআনে যারা স্বতঃস্ফুর্ত সহযোগিতা করতে আগ্রহ পোষণ করেন এবং অন্যদেরকেও সহযোগিতার জন্য দা‘ওয়াত দিয়ে আল্লাহ্ তা‘আলার সন্তুষ্টি অর্জনের আশা পোষণ করেন তাদের জ্ঞাতার্থে এই প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার পন্থাগুলো নিম্নে উল্লেখ করছি।
নির্মাণ ক্ষেত্রে সহযোগিতাঃ মা‘হাদু উলূমিল কুরআন এর বর্তমান কার্যক্রম বর্ধিত আকারে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করা নেহায়েত প্রয়োজন। আর সেই প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে বৃহৎ পরিসরের বহুতল বিশিষ্ট মসজিদ-মাদরাসা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি কাজ চলছে। সর্বস্তরের দ্বীনদার ভাই-বোনের এই মহতি কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
বিঃ দ্রঃ উল্লেখ্য যে, যারা নির্মাণ ক্ষেত্রে এককালীন ১০০০০০/- (এক লক্ষ) টাকা দান করবেন তারা মা‘হাদু উলূমিল কুরআনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন।
কিতাব সংগ্রহে সহযোগিতাঃ মা‘হাদু উলূমিল কুরআন উচ্চতর কুরআন গবেষণা ও বহুমুখি কুরআনী শিক্ষার একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের গবেষণা কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য বহুসংখ্যক কিতাব সমৃদ্ধ একটি বিশাল গ্রন্থাগারের প্রয়োজন। অথচ প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের সংগ্রহের পরিমাণ খুবই সীমিত। সুতরাং আমাদের প্রয়োজনীয় কিতাবের তালিকা হতে এক বা একাধিক কিতাব ক্রয় করে দিয়ে অথবা কিতাব সংগ্রহ তহবিলে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
গোরাবা তহবিলে সহযোগিতাঃ গোরাবা তহবিল অর্থাৎ গরীবদের জন্য আর্থিক সহযোগিতা তহবিল। মাদরাসার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই থাকে আর্থিকভাবে অসচ্ছল। যাদের পড়াশুনার খরচ চালাতে তাদের অভিভাবকরা ব্যর্থ হন। আর দাওরায়ে হাদীছ উত্তীর্ণ হওয়ার পর অভিভাবকরা তাদের পড়াশুনার ব্যয় বহন করতে সম্পূর্ণ অনীহা প্রকাশ করেন। তাই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে এই শ্রেণীর শিক্ষার্থীদেরকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করতে হয়। কিন্তু মা‘হাদু উলূমিল কুরআনের গোরাবা তহবিলে তেমন অর্থ সংগৃহীত হয় না বিধায় আমরা শিক্ষার্থীদেরকে আশানুরূপ সহযোগিতা করতে পারি না। সুতরাং ধর্মপাণ আগ্রহী ভাই-বোনদের জন্য নিজেদের যাকাতের অংশ বিশেষ প্রদান অথবা যাকাতের অর্থ হতে একজন শিক্ষার্থীর মাসিক খরচ প্রদানের মাধ্যমে সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে।
সাধারণ তহবিলে সহযোগিতাঃ সাধারণ তহবিলে সহযোগিতার পদ্ধতি নিম্নরূপঃ
(ক) এককালীন দানঃ এই প্রতিষ্ঠানের বহুমুখি কুরআনী খিদমাতকে অগ্রসর করার লক্ষ্যে যে কেউই স্বতঃস্ফুর্তভাবে এককালীন দানের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারেন।
(খ) ৩১৩ আজীবন সদস্যঃ উল্লেখ্য যে ৩১৩ সংখ্যাটি বহু বরকত পরশিত। সুতরাং সেই বরকতপূর্ণ সংখ্যার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মা‘হাদু উলূমিল কুরআনের আজীবন সদস্য সংখ্যাও নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১৩। আজীবন সদস্যগণ বৎসরে নূন্যতম এক হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবেন এবং অন্যদেরকেও সহযোগিতার প্রতি উৎসাহিত করবেন।এই প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হওয়ার সুযোগ এখনও রয়েছে। আপনিও হতে পারেন মা‘হাদু উলূমিল কুরআনের একজন গর্বিত আজীবন সদস্য।
(গ) শুভাকাঙ্খী আজীবন সদস্যঃ মহান রাব্বুল আলামীন যাদেরকে অধিক অর্থ-সম্পদ দান করেছেন, প্রাপ্ত নিয়ামতের শুকরিয়া স্বরূপ তাদের অধিক দান-খয়রাত করা উচিত। সুতরাং এই শ্রেণীর আগ্রহী ব্যক্তিবর্গের জন্য প্রতি মাসে এই প্রতিষ্ঠানে ১০০০/- টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে শুভাকাঙ্খী আজীবন সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
(ঘ) খাদেমীনে কুরআন কাফেলাঃ যাদের অর্থ-সম্পদ তত বেশী নয়, কিন্তু দ্বীনী কাজে সহযোগিতার প্রতি আগ্রহ পোষণ করেন, তাদের জন্য এই প্রতিষ্ঠানে মাসে কেবলমাত্র ১০০/-টাকা আর্থিক সহযোগিতা স্বরূপ প্রদান করে খাদেমীনে কুরআন কাফেলার সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
(ঙ) কুরআনী কাফেলাঃ পবিত্র কুরআনের আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬। সেদিকে লক্ষ্য রেখে এই প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতায় আগ্রহী একেবারে সাধারণ আয়ের ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত ‘কুরআনী কাফেলা’র সদস্য সংখ্যাও হবে ৬২৩৬।এই কাফেলার সদসগণ্য প্রতি মাসে নূন্যতম মাত্র ১০/-টাকা দান করবেন। প্রত্যেকের জন্যই এই কাফেলার সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মুহতারাম,
উপরে আপনাদের জ্ঞাতার্থে মা‘হাদু উলূমিল কুরআনে আর্থিক সহযোগিতার চলমান প্রক্রিয়ার সংক্ষিপ্ত বিবরণ পেশ করা হল মাত্র। অন্যথায় নিজের ইচ্ছামত যে কোন পন্থায়ই সহযোগিতা করা যায়। আল্লাহর তাওফীক ব্যতিত দ্বীনী কাজে সহযোগিতা সম্ভব হয় না। সুতরাং আল্লাহ্ পাক আমাদের সকলকে তাওফীক দান করুন। সকলকে দ্বীনের জন্য কবুল করুন। আমীন।
মতামত দিন
আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো * দ্বারা চিহ্নিত করা আছে।