মুফাসসিরের আদবসমূহ

মুফাসসিরের আদবসমূহ
মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলামমুফাসসিরের প্রয়োজনীয় আদবসমূহ

মুফাসসিরের প্রয়োজনীয় আদবসমূহ ১. আক্বীদা বিশুদ্ধ হওয়া: আর আক্বীদা বিশুদ্ধ তখনই হবে যখন আক্বীদা কুরআন হাদীস থেকে গৃহীত হবে। ২. সাহাবী তাবেয়ী ও সালফে সালেহীনের পদ্ধতীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসারী হওয়া। ৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ত্বরীক্বার উপর আমলকারী আহলুসসুন্নাহর ন্যায় সুষ্ঠু চিন্তা-চেতনার অধীকারী হওয়া। ৪. আহলুসসুন্নাহ ওয়ালজামাতের আক্বীদার পরিপন্থি

মুফাসসিরের প্রয়োজনীয় আদবসমূহ

১. আক্বীদা বিশুদ্ধ হওয়া: আর আক্বীদা বিশুদ্ধ তখনই হবে যখন আক্বীদা কুরআন হাদীস থেকে গৃহীত হবে।

২. সাহাবী তাবেয়ী ও সালফে সালেহীনের পদ্ধতীতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সুন্নাতের পরিপূর্ণ অনুসারী হওয়া।

৩. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ত্বরীক্বার উপর আমলকারী আহলুসসুন্নাহর ন্যায় সুষ্ঠু চিন্তা-চেতনার অধীকারী হওয়া।

৪. আহলুসসুন্নাহ ওয়ালজামাতের আক্বীদার পরিপন্থি আক্বীদা পোষণকারী বাতিল ফিরকার অনুসারীদের চিন্তা-চেতনায় প্রভাবিত না হওয়া। এ ক্ষেত্রে বাতিল ফিরকা হিসাবে ক্বাদরিয়া, রাফেযা, খাওয়ারিজ, মু‘তাযিলাহ, শিয়া ও জাহমিয়্যার নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পরবর্তী যুগের এমনকি বর্তমান যুগের বাতিল ফিরকারগুলোও একই শ্রেণীভূক্ত।

৫. মুসলমানদের নিকট ন্যায় পরায়ন ও এমন নির্ভরযোগ্য হিসাবে বিবেচিত হওয়া যার দ্বীনদারী, ইলম ও আমলের ব্যাপারে সকলেই আস্থাশীল।

৬. কুপ্রবৃত্তির অনুসারী ও বিদআতী না হওয়া। কেননা বিদআতী ও কুপ্রবৃত্তির অনুসারী নিজের ভ্রান্ত মত প্রমান করার জন্য নির্দ্বিধায় কুরআনী আয়াতকে ভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে থাকে।

৭. ইখলাস: অর্থাৎ সকল আমল একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্যই করা, যাতে আল্লাহ তা‘আলা তাকে সঠিক তাফসীর বুঝার তাওফীক দান করেন।

৮. দুনিয়ার প্রতি আসক্তি না থাকা। পরকালই শুধু কাম্য হওয়া। কারণ, আখিরাতের প্রতি আগ্রহ কুরআনের তাফসীর বুঝতে সহায়ক হয়।

৯. কুরআনের আহকামের উপর আমল করা। কারণ, এই আমল কিতাবুল্লাহর ইলমকে বৃদ্ধি করে এবং কুরআন হতে আহকাম বের করতে সহায়ক হয়।

১০. সকল প্রকার গুনাহ পরিহার করা। কারণ, আল্লাহর রহমত হতে দুরে সরিয়ে দেয় এবং কিতাবুল্লাহর তাফসীর বুঝতে প্রতিবন্ধক হয়।

১১. অহংকার ও লৌকিকতা সহ সর্ব প্রকার মন্দ কাজ ও মন্দ অভ্যাস সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করা। কারণ, এগুলো কিতাবুল্লাহর প্রকৃত মর্ম অনুধাবনে দারুনভাবে প্রতিবন্ধক হয়।

১২. সর্বপরি মুফাসসিরের জন্য কুরআনে কারীমের তাফসীরের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সতর্ক হওয়া ও বিচক্ষণতার অধিকারী হওয়া।
প্রকৃত মুফাসসিরের জন্য উল্লিখিত সবগুলো গুনই অর্জন করা জরূরী

تعريف الدارسين بمناهج المفسرين ﺼ٦١
الاتقان فى علوم القران ﺼ ٤٥٥ النوع الثامن والسبعون
البرهان فى علوم القران- دراسات فى علوم القران الكريمﺼ١٨٥
الايجاز والبيان فى علوم القران ﺼ٢٥٦
مباحث فى علوم القران-لمناع القطان. ﺼ٣٢٣
التيسير في قواعد علم التفسير:

চলমান পোষ্ট

মতামত দিন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রচার করা হবে না. প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলো * দ্বারা চিহ্নিত করা আছে।

সর্বশেষ পোস্ট

শীর্ষ লেখক

সর্বাধিক মন্তব্য

বৈশিষ্ট্যযুক্ত ভিডিও

ক্যাটাগরি